ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই এমন কিছু মানুষের দেখা
পেয়েছেন যারা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না কী ধরণের তথ্য সবার সামনে উপস্থাপনা
করা উচিত, আর কি উচিত না? এমনকি আপনার নিজেরও অনেক সময় এমনটা হতে পারে।
ফেসবুকে একটি পোস্ট দেবার পর নিজের নির্বুদ্ধিতায় অবাক হয়ে যেতে পারেন
নিজেই।
ভাবছেন, ফেসবুক তো ফেসবুক! একটা হালকা বিনোদনের মাধ্যম।
এখানেও বুঝে শুনে কথা বলতে হবে? সত্যটা হচ্ছে, এখানেই সবচাইতে বেশী বুঝে
কথা বলতে হবে। কারণ এটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম আর সবার জন্য উন্মুক্ত।
এখানে একটা কথা বলে আপনি হতে পারেন সবার হাসির পাত্র, নিজেকে ফেলে দিতে
পারেন একটা বিপদে, এমনকি থানা-পুলিশের ঝামেলাতেও জড়িয়ে যেতে পারেন নিজের
অজান্তেই! দেখে নিন কী ধরণের তথ্য কখনোই ফেসবুকে পোস্ট করা উচিত নয়!
১) আপনার কোনো অপরাধের প্রমাণ
ফেসবুক এখন সব ধরণের মানুষের কাছে চলে গেছে। আর এমন ঘটনা হরহামেশাই শোনা যায় যেখানে কোনো এক চোর বড়াই করে তার চুরির ঘটনা এবং চুরি করা জিনিসের ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ফেলেছে এবং ফলশ্রুতিতে ফেঁসে গেছে। আমরা বলছি না আপনিও তাদের দলেই পড়ছেন। তবে ছোটখাটো অপরাধ, যেমন পরীক্ষায় বন্ধুর খাতা টুকলিফাই করে লেখার ব্যাপারটা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে যাবেন না। কারণ এখন শিক্ষকদেরও হরহামেশাই ফেসবুকে দেখা যায়। একইভাবে আপনি অমুক নামজাদা “গ্যাং” এর সদস্য, তমুক সন্ত্রাসীর সাথে আপনার গলায়-গলায় ভাব, এসব নিয়ে পোস্ট দিতে গেলেও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফেসবুক এখন সব ধরণের মানুষের কাছে চলে গেছে। আর এমন ঘটনা হরহামেশাই শোনা যায় যেখানে কোনো এক চোর বড়াই করে তার চুরির ঘটনা এবং চুরি করা জিনিসের ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ফেলেছে এবং ফলশ্রুতিতে ফেঁসে গেছে। আমরা বলছি না আপনিও তাদের দলেই পড়ছেন। তবে ছোটখাটো অপরাধ, যেমন পরীক্ষায় বন্ধুর খাতা টুকলিফাই করে লেখার ব্যাপারটা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে যাবেন না। কারণ এখন শিক্ষকদেরও হরহামেশাই ফেসবুকে দেখা যায়। একইভাবে আপনি অমুক নামজাদা “গ্যাং” এর সদস্য, তমুক সন্ত্রাসীর সাথে আপনার গলায়-গলায় ভাব, এসব নিয়ে পোস্ট দিতে গেলেও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
২)
আক্রমণাত্মক মন্তব্য
যে কোনো ব্যাপারে আপনার নেতিবাচক ধারনা এবং মতামত থাকতেইই পারে। তাই বলে ফেসবুকে তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা মোটেই ভালো নয়। বরং তাতে আপনার অপ্রাপ্তবয়স্ক মানসিকতার প্রকাশ পায়। আর এর ফলে একে একে আপনার বন্ধুরাও আপনার পোস্টের প্রতি মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন।
যে কোনো ব্যাপারে আপনার নেতিবাচক ধারনা এবং মতামত থাকতেইই পারে। তাই বলে ফেসবুকে তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা মোটেই ভালো নয়। বরং তাতে আপনার অপ্রাপ্তবয়স্ক মানসিকতার প্রকাশ পায়। আর এর ফলে একে একে আপনার বন্ধুরাও আপনার পোস্টের প্রতি মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন।
৩) একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য
অনলাইনে কিছু তথ্য প্রকাশ করাতে কোনোই বাধা নেই। যেমন আপনার গ্র্যাজুয়েশন, এনগেজমেন্ট, বিয়ে, সন্তানের জন্ম, নতুন চাকরি পাওয়ার সুখবর ইত্যাদি। এসব নির্দোষ তথ্য জানতে পারলে খুশীই হবেন আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষেরা। কিন্তু এমনও কিছু ব্যাপার আছে যা সবাইকে জানিয়ে না বেড়ানোই ভালো। যেমন খুব হঠাৎ করে কারো মৃত্যুবরণের দুঃসংবাদ, বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা, পরিচিত কারো অসুস্থতা ইত্যাদি।
অনলাইনে কিছু তথ্য প্রকাশ করাতে কোনোই বাধা নেই। যেমন আপনার গ্র্যাজুয়েশন, এনগেজমেন্ট, বিয়ে, সন্তানের জন্ম, নতুন চাকরি পাওয়ার সুখবর ইত্যাদি। এসব নির্দোষ তথ্য জানতে পারলে খুশীই হবেন আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষেরা। কিন্তু এমনও কিছু ব্যাপার আছে যা সবাইকে জানিয়ে না বেড়ানোই ভালো। যেমন খুব হঠাৎ করে কারো মৃত্যুবরণের দুঃসংবাদ, বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা, পরিচিত কারো অসুস্থতা ইত্যাদি।
৪) অপ্রাসঙ্গিক “লাইক” পাওয়ার চেষ্টা
এমনটা হরহামেশাই দেখতে পাই আমরা, লাইক-লোভী কিছু পেইজ মানুষের অনুভূতির ফায়দা নিয়ে লাইক পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এরপর লেখা হয়, “গল্পটি পছন্দ হলে লাইক/শেয়ার করুন”। ব্যাপারটি সহনীয়তার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনই যখন মৃত্যু অথবা দুর্ঘটনার মতো ব্যাপারগুলো নিয়ে এভাবে লাইকের ব্যবসা চলে। ভুলেও এমন কিছু করে অন্যদের চোখে নিজেকে ছোট করবেন না।
এমনটা হরহামেশাই দেখতে পাই আমরা, লাইক-লোভী কিছু পেইজ মানুষের অনুভূতির ফায়দা নিয়ে লাইক পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এরপর লেখা হয়, “গল্পটি পছন্দ হলে লাইক/শেয়ার করুন”। ব্যাপারটি সহনীয়তার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনই যখন মৃত্যু অথবা দুর্ঘটনার মতো ব্যাপারগুলো নিয়ে এভাবে লাইকের ব্যবসা চলে। ভুলেও এমন কিছু করে অন্যদের চোখে নিজেকে ছোট করবেন না।
৫) অন্য কারো ব্যাপারে এমন তথ্য যা পোস্ট করলে সে বিরক্ত হতে পারে
আপনার নিজের ব্যক্তিগত তথ্য আপনি পোস্ট করতে পারেন কোনো তোয়াক্কা ছাড়াই, এতে ক্ষতিগ্রস্ত কেবল আপনিই হবেন। কিন্তু যখন ওই পোস্টে অন্য কারো ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে তখন ভুলেও তার সম্মতি ছাড়া তা প্রকাশ করতে যাবেন না। এতে ওই মানুষটি তো বিরক্ত হবেনই, উপরন্তু আপনার নির্বুদ্ধিতার কারণে তার বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বন্ধুদের মাঝে ঝগড়ার ব্যাপারটাও ফেসবুকে নিয়ে না আসাই ভালো।
আপনার নিজের ব্যক্তিগত তথ্য আপনি পোস্ট করতে পারেন কোনো তোয়াক্কা ছাড়াই, এতে ক্ষতিগ্রস্ত কেবল আপনিই হবেন। কিন্তু যখন ওই পোস্টে অন্য কারো ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে তখন ভুলেও তার সম্মতি ছাড়া তা প্রকাশ করতে যাবেন না। এতে ওই মানুষটি তো বিরক্ত হবেনই, উপরন্তু আপনার নির্বুদ্ধিতার কারণে তার বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বন্ধুদের মাঝে ঝগড়ার ব্যাপারটাও ফেসবুকে নিয়ে না আসাই ভালো।
৬) এমন তথ্য যা আপনার চাকরি চলে যাওয়ার কারণ হতে পারে
আপনার অফিসের অনেকেই থাকতে পারেন ফেসবুকে। আর তাই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলো ফেসবুকে পোস্ট না করাই ভালো। এমনও হতে পারে যে আপনার কর্মকর্তা আপনার ব্যাপারে খারাপ কিছু দেখলেন এমন আপনাকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। এছাড়াও নতুন চাকরি পাওয়ার খেত্রেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে এমন সব পোস্ট। তাই থাকুন পোস্ট করার ব্যাপারে সতর্ক।
আপনার অফিসের অনেকেই থাকতে পারেন ফেসবুকে। আর তাই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলো ফেসবুকে পোস্ট না করাই ভালো। এমনও হতে পারে যে আপনার কর্মকর্তা আপনার ব্যাপারে খারাপ কিছু দেখলেন এমন আপনাকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। এছাড়াও নতুন চাকরি পাওয়ার খেত্রেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে এমন সব পোস্ট। তাই থাকুন পোস্ট করার ব্যাপারে সতর্ক।
৭) এমন কিছু যা সমাজের চোখে গ্রহণযোগ্য নয়
ফেসবুকে আপনার যেসব বন্ধু আছে, তারাও কিন্তু আপনার সমাজেরই অংশ। এমন কিছু করবেন না যাতে তাদের মাঝে আপনার সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। বিশেষ করে তাদের ধর্মানুভুতি বা নৈতিকতায় আঘাত করে এমন কিছু পোস্ট না করাই ভালো।
ফেসবুকে আপনার যেসব বন্ধু আছে, তারাও কিন্তু আপনার সমাজেরই অংশ। এমন কিছু করবেন না যাতে তাদের মাঝে আপনার সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। বিশেষ করে তাদের ধর্মানুভুতি বা নৈতিকতায় আঘাত করে এমন কিছু পোস্ট না করাই ভালো।
সূত্র: প্রিয় লাইফ
0 comments:
Thanks for comment