অতিরিক্ত
চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা, চুলের লালচে ভাব, শুষ্ক এবং রুক্ষ চুলের সমস্যায়
অনেকেই ভুগে থাকেন। ঠিক মত চুলের যত্ন নেয়াও অনেক সময় সম্ভব হয় না কাজের
ব্যস্ততার জন্য। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিংবা অনেক ধরনের হেয়ার প্রোডাক্ট
ব্যবহারেও ফল পাওয়া যায় না অনেক সময়। এমন পরিস্থিতিতে সব চাইতে কার্যকরী
উপায় হচ্ছে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার। প্রাকৃতিক উপাদানগুলোতে
কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। এতে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়
অনেক। আসুন জেনে নেই চুলের হারানো সৌন্দর্যকে ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী দুটি
হেয়ার মাস্ক।
কলা এবং কাঠবাদামের হেয়ার মাস্ক
চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে কলা। কাঠবাদামের তেল (আলমন্ড অয়েল) চুলের গোঁড়া মজবুত করতে বেশ কার্যকরী। এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে একটি আস্ত কলা এবং ২/৩ টেবিল চামচ কাঠবাদামের তেল। কলা একটি চামচ দিয়ে খুব ভালো করে পিষে নিন। এতে কাঠবাদামের তেল মেশান। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সপ্তাহে ১ দিনের ব্যবহারে চুল হয়ে উঠছে ঝলমলে সুন্দর।
মিষ্টিকুমড়া এবং মধুর হেয়ার মাস্ক
মিষ্টিকুমড়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এই মাস্কটি তৈরি করতে সামান্য মিষ্টিকুমড়া এবং ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিন। মিহি করে ব্লেড করবেন। এরপর এতে মেশান ১/২ টেবিল চামচ মধু। এই মিশ্রণটি চুলে খুব ভালো করে লাগান। ১৫ মিনিট একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল বেঁধে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১/২ বার ব্যবহারে ফিরে পাবেন স্বাস্থ্যউজ্জ্বল সুন্দর চুল।
মিষ্টিকুমড়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এই মাস্কটি তৈরি করতে সামান্য মিষ্টিকুমড়া এবং ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিন। মিহি করে ব্লেড করবেন। এরপর এতে মেশান ১/২ টেবিল চামচ মধু। এই মিশ্রণটি চুলে খুব ভালো করে লাগান। ১৫ মিনিট একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল বেঁধে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১/২ বার ব্যবহারে ফিরে পাবেন স্বাস্থ্যউজ্জ্বল সুন্দর চুল।