হঠাৎ করে গরমটা যেন খুব বেশি পড়ে গেল। এ
সময়ে গরম পড়ে ঠিকই, কিন্তু এ বারের গরমটা কিছুটা অন্য রকম। শুকনো গরম। ঘাম
হচ্ছে না। আর এখান থেকেই কিন্তু সমস্যা শুরু। কারণ ঘাম যতই বিরক্তকর হোক না
কেন, আসলে এটি শরীরকে ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে। ত্বককে আর্দ্র রাখে। ঘেমে
নেয়ে পাখার তলায় দাঁড়ালেই ব্যাপারটা টের পাবেন। এ বারের গরম থেকে সেই ঘাম-ই
উধাও!
এদিকে বাইরের তাপমাত্রাও ক্রমশ চড়ছে। ঠিক
মতো সাবধানতা না নিলে এই ধরনের আবহাওয়ায় হিট স্ট্রোক হতে পারে। আসলে
মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা যদি খুব বেশি হয়ে যায়, আর তা যদি মস্তিষ্কের তাপ
নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে ছাপিয়ে যায়, তখনই হতে পারে
হিট স্ট্রোক।
হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে কখন
বাইরের তাপমাত্রা খুব বেশি, অথচ কোনও রকম সাবধানতা ছাড়াই চড়া রোদে দীর্ঘ সময় থাকলেন।
অনেক ক্ষণ পানি না খাওয়ার জন্য শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে, সোজা কথায় ডিহাইড্রেশন হলে।
এমন পোশাক পরলেন, যা দিয়ে স্বাভাবিক বায়ুচলাচল হতে পারছে না।
ঘাম বেরোতে না পারলে।
বাইরের তাপমাত্রা খুব বেশি, অথচ কোনও রকম সাবধানতা ছাড়াই চড়া রোদে দীর্ঘ সময় থাকলেন।
অনেক ক্ষণ পানি না খাওয়ার জন্য শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে, সোজা কথায় ডিহাইড্রেশন হলে।
এমন পোশাক পরলেন, যা দিয়ে স্বাভাবিক বায়ুচলাচল হতে পারছে না।
ঘাম বেরোতে না পারলে।
সমস্যাটা কী হয়
রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। মারাত্মক রকম হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন। শরীরের ভেতরকার তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়।
রক্তে পানির পরিমাণ কমে যায়। খুব বেশি কমে গেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে
সোডিয়াম বা পটাশিয়ামের মাত্রা হঠাৎ করে খুব বেশি কমে বা বেড়ে যেতে পারে। তার থেকে কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। মারাত্মক রকম হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন। শরীরের ভেতরকার তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়।
রক্তে পানির পরিমাণ কমে যায়। খুব বেশি কমে গেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে
সোডিয়াম বা পটাশিয়ামের মাত্রা হঠাৎ করে খুব বেশি কমে বা বেড়ে যেতে পারে। তার থেকে কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন
ডা. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ, এ রকম হলে রোগীকে প্রথমে এসি’তে এনে শুইয়ে দিন। নিদেনপক্ষে পাখার হাওয়ায় নিয়ে আসুন। চোখে মুখে ঠান্ডা পানির ছিটে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন। খেতে পারলে মোটামুটি ঠান্ডা পানি খাইয়ে দিন। আস্তে আস্তে রোগী স্বাভাবিক হবেন। আর যদি দেখেন এতে কমছে না, তবে চটজলদি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
ডা. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ, এ রকম হলে রোগীকে প্রথমে এসি’তে এনে শুইয়ে দিন। নিদেনপক্ষে পাখার হাওয়ায় নিয়ে আসুন। চোখে মুখে ঠান্ডা পানির ছিটে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন। খেতে পারলে মোটামুটি ঠান্ডা পানি খাইয়ে দিন। আস্তে আস্তে রোগী স্বাভাবিক হবেন। আর যদি দেখেন এতে কমছে না, তবে চটজলদি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
হিট স্ট্রোক এড়াতে
ডা. সুব্রত মৈত্র জানালেন, বাইরে বেরোলেই ছাতা আর সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। সঙ্গে পানি রাখবেন। লবণ লেবু মেশানো পানিও অল্প অল্প করে বার বার খেতে পারেন। আর অবশ্যই সুতির জামাকাপড় পরবেন।
ডা. সুব্রত মৈত্র জানালেন, বাইরে বেরোলেই ছাতা আর সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। সঙ্গে পানি রাখবেন। লবণ লেবু মেশানো পানিও অল্প অল্প করে বার বার খেতে পারেন। আর অবশ্যই সুতির জামাকাপড় পরবেন।
এসি থেকে বাইরের গরমে বেরোলে তাপমাত্রার
হেরফের হওয়ায় অনেকের ঠান্ডা লেগে যায়। আসলে একটানা এসি’তে থাকলে সমস্যা
হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বার বার ঠান্ডা-গরম করলে সেই তাপমাত্রার পরিবর্তন
শরীর নিতে পারে না। যার থেকে চট করে ঠান্ডা লেগে যায়। তবে এসি সহ্য করতে
পারেন না, অথচ সাত-আট ঘন্টা এসি’তে কাজ করতে হলে মাফলার ব্যবহার করবেন।
গরমের পেটের সমস্য এড়াতে হলে
গরমে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও সাবধানতা দরকার। কারণ গরমে খাবার থেকেই অনেকে পেটের সমস্যায় ভোগেন। এই প্রসঙ্গে ডা. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানালেন, গরমের মুশকিল হল খাবার তাড়াতাড়ি পচে যায়। খাবারে বিষক্রিয়া হয়। সেই খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। যার থেকে বমি, লুজ মোশন শুরু হয়ে যায়। এ দিকে যদি জল কম খাওয়া হয় বা ধরুন ঘাম হচ্ছে, আর তার সঙ্গে লুজ মোশন চলতে থাকে, তবে তার থেকে সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। ব্লাড প্রেশার নেমে যেতে পারে। কিডনিতে জল সরবরাহ কমে গিয়ে কিডনির সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তাই টাটকা খাবার খাওয়া জরুরি। রাস্তা ও রেস্তোরাঁর খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে তৈরি হাল্কা ও সহজপাচ্য খাবার খেতে পারলেই ভাল।
গরমে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও সাবধানতা দরকার। কারণ গরমে খাবার থেকেই অনেকে পেটের সমস্যায় ভোগেন। এই প্রসঙ্গে ডা. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানালেন, গরমের মুশকিল হল খাবার তাড়াতাড়ি পচে যায়। খাবারে বিষক্রিয়া হয়। সেই খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। যার থেকে বমি, লুজ মোশন শুরু হয়ে যায়। এ দিকে যদি জল কম খাওয়া হয় বা ধরুন ঘাম হচ্ছে, আর তার সঙ্গে লুজ মোশন চলতে থাকে, তবে তার থেকে সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। ব্লাড প্রেশার নেমে যেতে পারে। কিডনিতে জল সরবরাহ কমে গিয়ে কিডনির সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তাই টাটকা খাবার খাওয়া জরুরি। রাস্তা ও রেস্তোরাঁর খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে তৈরি হাল্কা ও সহজপাচ্য খাবার খেতে পারলেই ভাল।
গরমে রাস্তায় বেরিয়ে আইসক্রিম, ঠান্ডা
পানীয়, বরফ গোলা বা লস্যি, রকমারি সরবতের হাতছানি অনেক সময় এড়ানো যায় না।
মুশকিল হল এগুলো থেকে অনেক সময় জন্ডিস (হেপাটাইসিস), গ্যাসট্রোএন্ট্রাইটিস
হতে পারে। কারণটা হল পানি। যে জল দিয়ে এগুলো বানানো হয়, সেগুলো অনেক
ক্ষেত্রেই পরিশ্রুত পানীয় জল নয়। কাটা ফলের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। রাস্তায়
ফল কেটে অনেক ক্ষণ রেখে দিলে বা ফল যদি ঠিক মতো জল দিয়ে না ধোওয়া হয়, তবে
তার থেকে উপকারের থেকে অপকার অনেক বেশিই হয়। তাই সব সময় বাড়ির পানি খাওয়া
উচিৎ।
এ প্রসঙ্গে ডা. মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ,
গরমে পেটের সমস্যা এড়াতে ফোটানো পানি খেতে পারেন। রাস্তায় বেরোলে মিনারেল
ওয়াটার খান। ডাবের পানিও নিরাপদ ও উপকারী। কিন্তু কিডনির সমস্যা থাকলে
ডাবের পানি এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ডাবের পানি খুব বেশি পরিমাণ পটাশিয়াম
থাকে।
তথ্যসূত্র: কালেরকণ্ঠ