দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও
ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে
ঘামাচি তৈরী হয়। সাধারণত পিঠ, বাহু, পেট এসব স্থানে ঘামাচি দেখা দিলেও
অনেকের মুখে, কপালেও অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি দেখা দেয়। এটি শুধু দেখতেই
বিচ্ছিরিই নয়, বরং এর সাথে যুক্ত হয় চুলকানি বা নানা রকম সংক্রমণ।
যন্ত্রণাদায়ক ঘামাচির সাথে পরিচয় নেই এমন
মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের নামী দামী
পাউডার বা ক্রীম ব্যবহার করেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ ডাক্তারের শরনাপন্নও
হয়ে থাকেন বাধ্য হয়ে।
অথচ ঘরে বসেই কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই
সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে মুক্তি পাওয়া যাতে পারে এই যন্ত্রনা
থেকে। আসুন, জেনে নেয়া যাক ঘামাচি থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি পাবার ৭টি
দারুণ সহজ উপায়!
বরফঃ
ঘামাচি আক্রান্ত জায়গাটিতে খুব ভালোভাবে বরফ ঘষে নিন। দিনে দু তিন বার করুন। দেখবেন, খুব জলদিই সেরে যাবে ঘামাচি।
ঘামাচি আক্রান্ত জায়গাটিতে খুব ভালোভাবে বরফ ঘষে নিন। দিনে দু তিন বার করুন। দেখবেন, খুব জলদিই সেরে যাবে ঘামাচি।
মুলতানি মাটিঃ
৪-৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২-৩ টেবিল চামচ গোলাপজল ও পরিমান মত পানি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরী করুন। ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় পেস্টটি লাগান ও ২-৩ ঘন্টা রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
৪-৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২-৩ টেবিল চামচ গোলাপজল ও পরিমান মত পানি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরী করুন। ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় পেস্টটি লাগান ও ২-৩ ঘন্টা রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
ঠান্ডা পানিঃ
ঠান্ডা পানিতে একটি পরিস্কার সুতি কাপড় ভেজান। তারপর সেটি তুলে আক্রান্ত জায়গায় লাগান যতক্ষণ না জায়গাটি পানি শুষে নিচ্ছে। এভাবে দিনে ২-৩ বার করুন। এতে ঘামচি দ্রুত সেরে উঠবে।
ঠান্ডা পানিতে একটি পরিস্কার সুতি কাপড় ভেজান। তারপর সেটি তুলে আক্রান্ত জায়গায় লাগান যতক্ষণ না জায়গাটি পানি শুষে নিচ্ছে। এভাবে দিনে ২-৩ বার করুন। এতে ঘামচি দ্রুত সেরে উঠবে।
বেকিং সোডাঃ
১ কাপ ঠান্ডা পানিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিস্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন ও ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।
১ কাপ ঠান্ডা পানিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিস্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন ও ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।
নিম পাতাঃ
নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিন। খানিকটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন এবং আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সম্পূর্ণ না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নিমপাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচির জীবানু মেরে ফেলে দ্রুত আপনাকে ঘামাচি থেকে মুক্তি দেবে। কিছুক্ষণ পর তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবার জন্যে দিনে ৪-৫ বার এটি করতে পারেন।
নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিন। খানিকটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন এবং আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সম্পূর্ণ না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নিমপাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচির জীবানু মেরে ফেলে দ্রুত আপনাকে ঘামাচি থেকে মুক্তি দেবে। কিছুক্ষণ পর তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবার জন্যে দিনে ৪-৫ বার এটি করতে পারেন।
লেবুর রসঃ
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন একটু বেশি করে লেবু মিশিয়ে। এটি ঘামাচি নিরাময়ে কাজ করবে স্রেফ জাদুর মতই!
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন একটু বেশি করে লেবু মিশিয়ে। এটি ঘামাচি নিরাময়ে কাজ করবে স্রেফ জাদুর মতই!
এলোভেরাঃ
এলোভেরার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন না শুকোনো পর্যন্ত। এরপর ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নিন।
এলোভেরার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন না শুকোনো পর্যন্ত। এরপর ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নিন।
ব্যস, এবার দেখুন আপনার হাতের কাছে কোন
উপাদানটি সবচেয়ে সহজলভ্য, আর সেটি দিয়েই শুরু করে দিন ঘামাচির বিরুদ্ধে
লড়াই। জয় আপনার নিশ্চিত!
তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ