উপকরণ : কর্নফ্লাওয়ার সিকি কাপ, ময়দা দেড় কাপ, ডিম ২টি, লবণ সিকি চা-চামচ।
পুরের জন্য : মুরগির
মাংসের কিমা আধা কাপ, চিংড়ি মাছের কিমা ১০০ গ্রাম, গাজর (ঝুরি করা) সিকি
কাপ, বাঁধাকপি (ঝুরি করে কাটা) পৌনে এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ,
আদা কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ
কুচি ৫টি, সয়াসস ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২
চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য (যদি কেউ ভাপে সেদ্ধ করে খেতে না
চান)।
প্রণালি : দুটি ডিম ফেটে
নিন। এখান থেকে ২ চা-চামচ ডিম মুরগি ও চিংড়ির কিমার সঙ্গে ভালো করে মেখে
নিন। বাকি ডিম ময়দার জন্য রেখে দিন। কিমার সঙ্গে আধা চা-চামচ লবণ,
গোলমরিচ গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার ও সয়াসস মিশিয়ে মেখে রেখে দিন কিছুক্ষণ।
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন হালকা বাদামি করে ভেজে আদা কুচি
দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার কিমার মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে নেড়ে খানিকটা
কষিয়ে নিন। কিমার পানি টেনে এলে বাঁধাকপি ঝুরি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। কপি
মজে এলে গাজর ঝুরি ও কাঁচা মরিচের কুচি দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। বেশ খানিকটা
ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে রাখুন। বাটিতে ১ কাপ ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার ও লবণ
মিশিয়ে নিন। এবার বাকি ডিম দিয়ে ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো সামান্য পানি দিয়ে
ভালোভাবে মেখে নিন। ময়ান যেন শক্ত হয়।
রুটি বেলার পিঁড়িতে বা টেবিলে ময়দা
ছিটিয়ে চারকোনা রুটি বেলুন। ছুরি দিয়ে লম্বায় ৭ সেন্টিমিটার দূরে দূরে দাগ
কাটুন। এভাবে আড়াআড়ি ও ৭ সেন্টিমিটার দূরে দূরে দাগ কেটে চারকোনা টুকরা
করুন। প্রতি টুকরার এক কোনায় কিমার মিশ্রণ (আন্দাজমতো) দিয়ে কিমাসহ
কোনা দুবার মুড়িয়ে নিন। তরপর দুহাতে তুলে নিয়ে (ভাঁজ যেন নিচের দিকে
থাকে) হাতের দুকোনা একটির ওপর অন্যটির কিছু অংশ রেখে চেপে দিন। অনেকটা
প্রজাপতির মতো দেখাবে। তেলে সোনালি করে ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে ডিশে সাজিয়ে
সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন। যাঁরা তেলে ভাজা খেতে পছন্দ করেন না,
তাঁরা ইচ্ছা করলে ভাপিয়ে নিয়েও খেতে পারেন।
0 comments:
Thanks for comment